টেনশন থেকে কি কি রোগ হতে পারে।
টেনশন থেকে কি কি রোগ হতে পারে।
আজকে অমরা আলোচনা করব টেনশন থেকে কি কি রোগ হতে পারে। এবং ধৈর্য ধরে শেষ পর্যন্ত পড়েন। আপনি যে রোগে ভুগছেন সেটি এই টেনশন থেকে তৈরি হল কি না সে বিষয়ে জানতে পারবেন। টেনশন থেকে আসলে অনেকগুলো রোগ হতে পারে। এমনকি পা থেকে মাথা পর্যন্ত নানারকম উপসর্গ তৈরি হতে পারে।
টেনশন থেকে যেমন প্রথমেই বলি টেনশন হেডেক আপনার যদি অনেক বেশি স্ট্রেস বা টেনশন থাকে। এবং সেটা যদি দীর্ঘমেয়াদী হয় তাহলে সেখান থেকে কিন্তু আপনার মাথাব্যথা হতে পারে।এবং দেখা যায় যে দিনের শেষভাগে চাপ মাথা ব্যথা হয় এবং প্রতিদিনই মাথা ব্যথা হয়। কোনও ওষুধ খেয়েও মাথাব্যাথা ভাল করা যায় না। আসলে মূলত এটা যেহেতু টেনশন থেকে হয়, সুতরাং আপনার টেনশনের চিকিৎসা না হলে এই টেনশন হেডেক কিন্তু ভালো হবে না।
এরপরে আসেন মাথার নীচে ঘাড়ে ব্যথা হতে পারে। টেনশন
থেকে মার্সেল টেনশন হয়। মাসল স্পাজম
হয় এবং ঘাড়ে ব্যথা
হয়। এটাও টেনশন থেকে
হতে পারে। তারপরে আপনি দেখেন আপনার
বুকে প্যালপিটেশন হতে পারে। বুকে
ব্যথা হতে পারে। হ্যাঁ,
এমনকি শ্বাসকষ্ট হতে পারে টেনশন
থেকে আপনার পেটের সমস্যা তৈরি হতে পারে৷
টেনশন থেকে পেটে ব্যথা
হতে পারে, পেটে গ্যাস হতে
পারে, এবং খাবার হজমে
সমস্যা হতে পারে টেনশন
থেকে।
টেনশন থেকে কী কী রোগ হতে পারে।
টেনশন
থেকে আপনার প্রস্রাবে সমস্যা হতে পারে। টেনশন
যদি অনেক বেশি থাকে
বা অনেক মানসিক চাপ
থাকে বা আপনার যদি
এমন কোথাও কোনো কাজে যাচ্ছেন
যেটার কারণে আপনার একটু টেনশন হচ্ছে
দেখবেন যে আপনার বারবার
প্রস্রাব হচ্ছে টেনশনের কারণে। আজকে কোনো অফিসে
জরুরি মিটিংয়ে যাচ্ছেন যেটা নিয়ে আপনার
খুব টেনশন আছে অথবা আপনি
কোনো পরীক্ষা দিতে যাচ্ছেন দেখবেন যে
আপনার টেনশন লাগছে। এবং সেখান থেকে
দেখবেন যে আপনার বারবার প্রস্রাবে চাপ দিচ্ছে।
টেনশন থেকে আপনার মাংসপেশিতে
বিভিন্ন রকম সিম্পটম তৈরি
হয়। কারও কারও হাত
পা চাপাতে পারে কামড়াতে পারে
ব্যথা হতে পারে। অনেকেই
বলে থাকেন যে আমার পায়ে
থলি
মাংসপেশি কামড়ায় চিবায় এগুলো কিন্তু টেনশনের কারণে হয়ে থাকে। টেনশন
থেকে অনেকগুলো সিম্পটম বা উপসর্গ হয়।
এবং এই উপসর্গগুলো হয় সাধারণত যাদের
দীর্ঘমেয়াদি টেনশন থাকে। এবং এ জুয়াল টেনশন
থাকে বা মেন্টালিস্ট থাকে।
দীর্ঘদিন যদি কোনও মানসিক
চাপে আপনি ভুগতে থাকেন
বা টেনশনে থাকেন সেখান থেকে এই উপসর্গগুলো
এক বা একাধিক কারও
কারও হতে পারে।
এবং যাদের এই
উপসর্গগুলো হয় তারা কিন্তু
বুঝতে পারেন না যে তাদের
এই টেনশন থেকে এই সমস্যাগুলো
হচ্ছে। যেমন কারও হয়তো
বুকে ব্যথা হয়। হঠাৎ করে
একটু বুকে খোঁচার মতো
একটু ব্যাথা হয়েছে। এবংখুবই টেনশনে পড়ে যান যেটা
আপনার হার্টের সমস্যা কি না তখন
অপনকে হার্টের ডাক্তার দেখানো উচিত। এবং হার্টের বিভিন্ন চেক আপ করাবেন।
সবকিছু নরমাল থাকার পরেও কিন্তু তার বুকে ব্যাথা
যায় না। চিকিৎসক হয়তো তাঁকে কিছু
ওষুধ দেন। সেই ওষুধ
গুলো তিনি নিয়মিত খান।
ঔষধ যখন খান ভালো
থাকেন৷ ওষুধ বন্ধ করলে
তারা আবার সমস্যা হয়।
এই যে টেনশনের কারণে
বুকে ব্যথা বা বুক ধরপর
বা প্যালপিটিশন যেগুলো হয় সেগুলো কিন্তু
আপনার এই টেনশন দূর
না করলে ভাল হবে
না।
এখন আপনাকে টেনশনের চিকিৎসা করতে হবে এবং
টেনশনের চিকিৎসা হল আপনার যে
কারণে টেনশন তৈরি হয়েছে সেই
কারণ দূর করতে হবে।
অথবা যদি সেই কারণ
দূর করার মতো না
হয়। তাহলে কীভাবে টেনশনকে নিজের সাথে মানিয়ে নেওয়া
যাবে সেটা আপনাকে শিখতে
হবে।
আর আপনি যদি
টেনশনের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারেন যদি আপনার সম্ভব হয় তাহলে আপনি কিন্তু ওই
টেকনিক অবলম্বন করে আপনি একটি
সুন্দর এবং সুস্থ জীবনযাপন করতে পারবেন। আর
যদি আপনি টেনশন দূর
করার মত হয় টেনশনটা
দূর করে ফেলতে পারেন
তাহলে আপনি কিন্তু বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন।
এখন যাঁদের টেনশন
হেডেক হয় প্রতিদিনই মাথা
ব্যথা হয় এবং কোনও ওষুধেই
ভালো হয় না।এবং আপনি
যদি টেনশন দূর করতে না
পারেন তাহলে তো আপনার এই
মাথাব্যথা ভাল হবে না।
এই টেনশনটাই দূর হবে না।
ওষুধ খেয়েও কিন্তু আপনার এটা নিরাময় করা
সম্ভব হবে না। আরেকটা
হলো যে কিছু কিছু
সমস্যা তো থাকে মানুষের
যেগুলো আসলে রিমুভ করার
সম্ভাবনা দূর করা সম্ভব
না। ঐ কারন থেকে
বের হয়ে আসা সম্ভব
না ওটি নিয়ে হয়তো
আপনাকে জীবন যাপন করতে
হবে। সেক্ষেত্রে আপনাকে যেটা করতে হবে।ওই
সমস্যা নিয়েই কীভাবে জীবনে স্বাচ্ছন্দ্যের সাথে চলা যায় সেটা আপনাকে
শিখতে হবে। এবং আপনি
যদি নিজে এ রকম
ওয়েআউট তৈরি করতে পারেন,
কোন উপায় বের করতে পারেন
তাহলে আপনি সে ভাবে
চলবেন। আপনি নিশ্চয়ই তখন
ভাল চলতে পারবেন, সুস্থ
থাকতে পারবেন,এবং আপনার তখন আর এই
এতগুলো উপসর্গ হবে না।
আর যাঁরা এই
টেনশন দূর করতে পারছেন
না তারা ডাক্তারের সহায়তা
নিতে পারেন।এবং বিশেষ করে যাঁরা ক্লিনিক্যাল
সাইকোলজিস্ট তাদের সহায়তা নিতে পারেন। তারা
আপনাকে কীভাবে এই সমস্যাটির সাথে
কিভাবে নিজেকে মানিয়ে নেওয়া যায়
সেই টেকনিকগুলো আপনাকে শিখিয়ে দেবেন। এবং আপনি সে
ভাবে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবেন। এবং
ওই সিম্পটম গুলো এক সময়
দেখা যাবে যে আপনার
হবে না। তাহলে এবার
আপনিই মিলিয়ে দেখুন যে আপনার যে
উপসর্গগুলো হচ্ছে আমি যে পা
থেকে মাথা পর্যন্ত বিভিন্ন
সিম্পটম গুলো বললাম এগুলো
আসলে আপনার টেনশন থেকে হচ্ছে কি
না। এবং আপনি কীভাবে বুঝবেন
যে আপনার টেনশন থেকে হচ্ছে।
টেনশন কেন হয়?
টেনশন কেন হয়?
সেটা বোঝার উপায় হল আপনি
কখনও কোনও বড় বিপদে
পড়েছিলেন কি না যেটা
থেকে আপনার মানসিক চাপ হয়েছিল কিনা।
অনেক বেশি টেনশন হয়েছিল
কি না, বা কোনও
ঘটনা থেকে আপনি অনেক
বেশি ভয় পেয়েছেন কি
না। অথবা আপনার নিকটতম
কেউ একজন মারা গেছে
সেখান থেকে আপনি সাংঘাতিক
বিষন্নতায় পড়ে গিয়েছেন কি
না। অথবা আপনার কোনও
আর্থিক সমস্যা অথবা বিজনেস লস
অথবা আপনার কোন কারণে চাকরিতে
কোনও সমস্যা। অথবা ব্যক্তিগত সম্পর্কের
টানাপোড়েনের কোনও সমস্যা সেখান
থেকে যদি আপনার দীর্ঘদিনের
কোনও টেনশন থেকে থাকে। অথবা
মানসিক চাপ থেকে থাকে
এবং তারপর পর যদি আপনার
দেখা যায় যে কোন
শারীরিক
উপসর্গ তৈরি হয় তাহলে
আপনি মিলিয়ে নিতে পারেন যে
আপনার এই শারীরিক যে
উপসর্গটি হয়,
যেমন মাথা ব্যথা, বুকে ব্যথা, বুক
ধরপর করা বা পেটে
গ্যাস হওয়া অথবা হাত
পা চাপানো কামড়ানো, ঘুমের সমস্যা হওয়া। এগুলো যেহেতু ওই ঘটনার পর
পর তৈরি হয়েছে। সুতরাং
এটা আপনার মানসিক চাপ। অথবা এই
যে টেনশন সেখান থেকে হতে পারে
তাহলে আপনি টেনশন দূর
করার যে উপায় গুলো
আছে সেগুলো আপনি অবলম্বন করুন।
টেনশন দূর করার উপায়
টেনশন দূর করার উপায়।
এর মধ্যে আপনি মেডিটেশন করতে
পারেন অথবা আপনি কোনও
একজন ক্লিনিকাল সাইকোলজিস্ট এর সহায়তা নিতে
পারেন, আপনার টেনশন দূর করতে পারবেন।
অথবা আপনার যে কারণে এই
টেনশন টি হয়েছে তা নিয়েই জীবনকে কীভাবে আপনি
চালিয়ে নিতে পারেন আপনাকে
সেই পদ্ধতি বের করতে হবে।
এবং একজন ক্লিনিকাল সাইকোলজিস্ট আপনাকে এ ব্যাপারে খুব
ভাল ভাবে সহায়তা করতে
পারবে।
ধন্যবাদ
সবাইকে।
দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন - অন্যথায় আপনার মন্তব্য গ্রহণ করা হবে না।
comment url