মাইগ্রেন এবং মাথা ব্যাথা থেকে মুক্তির উপায়।

 মাইগ্রেন এবং মাথা ব্যাথা থেকে মুক্তির উপায়।

আজকে আমরা যে বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো সেটি হচ্ছে আমাদের মাথাব্যথা এবং মাইগ্রেন।আমাদের সাধারণ মাথাব্যথা প্রত্যেকেরই কম বেশি হয় আমরা সবসময় সেটা বুঝতে পারি না যে ঠিক কী কারণে বা কেন এই মাথা ব্যাথা হচ্ছে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে মাথাব্যথার  বড় কারণ হচ্ছে মাইগ্রেন।

মাইগ্রেন এবং মাথা ব্যাথা থেকে মুক্তির উপায়

এই মাইগ্রেন কী?

সাধারণ মাথা ব্যথার সঙ্গে মাইগ্রেনের পার্থক্য কোথায় এবং এই মাইগ্রেইন থেকে মুক্তির উপায় ?

মাইগ্রেন এখনকার দিনে মহামারীর মতো আকার ধারণ করেছে। এবং মানুষের মধ্যে নানা ভাবে তার প্রভাব পড়ছে। সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে সবার ক্ষেত্রে প্রশ্ন। সে বলে আমার মাইগ্রেনের রোগ আছে।মাইগ্রেনের রোগটা কী কেন? কোথা থেকে উৎপত্তি? এই জিনিসটা কিন্তু আমাদের বোঝাটা খুব দরকার৷ মাথা থাকলে মাথা ব্যথা হবে খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু মাথাব্যথাটা ইন্টেনসিটিটা প্রগাঢ়তা যখন অত্যন্ত বেশি হয়ে যাবে, মাথার যেকোনো একদিকে বেশি প্রভাব ফেলছে তখন সেটাকে আমরা মাইগ্রেন বলবো।

  সাধারণ মাথা ব্যথা হচ্ছে যখন অল্প বিস্তর যে কোনও কারণে জ্বর, সর্দি, কাশি যে কোনও কারণে মাথা ব্যথা হচ্ছে সেটা এক ধরনের মাথা ব্যথা। আর মাইগ্রেনের মাথা ব্যাথা হচ্ছে যখন  দিক ধরে সেটা ডান দিক হল, বাঁ দিক হল মাঝখান হল যেখানে  মাথাব্যথা হবে অত্যন্ত গুরুতর হবে  সেটাকে আমরা তখন মাইগ্রেন বলবো। এবার এই মাইগ্রেনের সিম টিম হিসেবে আমরা সাধারণত যে গুলো দেখি।যে মাথাব্যথা কোন একটা দিক ধরে হচ্ছে, তার সঙ্গে  বমি ভাব রয়েছে রোদে বের হলে বা দিনের বেলা কাজে বের হলে এনভায়রনমেন্টাল এক্সপোজার হলে সেটা অনেক বেশি বেড়ে যাচ্ছে। কোনও কিছু টেনশনের মধ্যে থাকলে বা উত্তেজিত হয়ে গেলে বা খাওয়াদাওয়া অনিয়ম হলে সেখানে ক্ষেত্রে মাথাব্যথা বাড়ছে।

সাধারণ মাথা ব্যথার সঙ্গে মাইগ্রেনের পার্থক্য কোথায় এবং এই মাইগ্রেইন থেকে মুক্তির  উপায় ?

মাথাব্যথা কমে কীভাবে সাধারণ, ওষুধপত্র সবাই আমরা খেয়ে নিই।এবং কিছু ক্ষেত্রে ব্যান্ড ওষুধ তৈরির মতো ওষুধ খেয়ে নিই। কিন্তু মাথা ব্যথাটা কমতে পারে। মাইগ্রেনের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে  ভাল ঘুমের পরে ভাল রেস্ট এর পরে যে টিপিক্যাল সিম্পটম গুলো হয় সেগুলো হচ্ছে । যে বাইরে বের হলে মাথা দপদপ করছে। মাথা ব্যথার ইন্টেনসিটি খুব বেড়ে যাচ্ছে। বমিভাব আসছে কোনও কিছু ভালো লাগছে না খিটখিটে মেজাজ হয়ে যাচ্ছে কোনও কিছুতে কনসেনট্রেট করতে পারছি না। এবং কাজের ক্ষেত্রে তার প্রভাব পড়ছে যদি একটু অন্ধকার পরিবেশে নিজেকে কিছুক্ষণের জন্য বিলুপ্ত রাখতে পারি সবার থেকে একটু যদি  আলাদা থাকতে পারি অথবা একটু ঘুমিয়ে নিতে পারি তাহলে মাথা ব্যথা আরাম পাচ্ছে। এটা হচ্ছে টিপিকাল মাইগ্রেনের সিম্পটমস।

ওষুধ দিয়ে অবশ্যই মাথাব্যথার ইনটেন্স এটাকে আমরা চালিয়ে নেই।, ওই ভাবেই গ্রেট করে চলতে থাকে কিন্তু তার প্রভাব অনেক ভাবে পড়ে। দিনে দিনে দেখা যাচ্ছে যে এই মাইগ্রেনের প্রকোপ বাড়ছে। অনেক পেশেন্ট ডাক্তারের কাছে এসে বলে মাইগ্রেন নিয়ে আমি এসেছি আপনার কাছে তো এই কারণটা কি বা মাইগ্রেনের কারণ টা কি?

মাইগ্রেনের কারণ টা কি?

  সুতরাং।এখনকার বর্তমান যুগে আমরা যখন এগিয়ে চলেছি নানা কিছু আমাদের হাতের মুঠোয় চলে এসেছে।তেমনি এই মাইগ্রেনের প্রভাবটাও কিন্তু বহু ভাবে বহু গুণ বেড়েছে। সেটা কিছুটা আমাদের হয়তো এখনকার উন্নত চিকিৎসা বিদ্যার জন্য করতে পারছি। কিছুটা মানুষের সচেতনতার জন্য তারা আমাদের কাছে আসছে। কিন্তু সব মিলিয়ে আমরা যেটা পাচ্ছি যে আউটডোরে৷ এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে ইনসিডেন্সের অনেকটা বেশি। এর মূল কারণ কিন্তু এখনকার দিনের জীবনযাপনের যে প্যাটার্ন সেটা কিন্তু অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে। আমরা অনেক বেশি গতিশীল হয়ে উঠেছি। সেটা যেমন আধুনিকীকরণের জন্য খুব প্রয়োজন। আমাদের সেটা স্বাস্থ্য এবং মনের উপরও বড় প্রভাব ফেলছে। সুতরাং স্ট্রেস যে কথাটা , স্ট্রেস ইজ ওয়ান অফ দ্যা মেজর ফ্যাক্টর অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ মাইগ্রেনের জন্য সেটা ফিজিক্যাল স্ট্রেস হতে পারে সেটা মেন্টাল স্ট্রেস হতে পারে । সেটা খাওয়া দাওয়ার অনিয়মের জন্য হতে পারে সেটা চাকরি সূত্রে শেখা পড়াশোনা স্ট্রেস যে কোনও ধরনের স্ট্রেস যেটা আমাদের শরীরে প্রভাব ফেলছে। যার দ্বারা আমরা চিন্তিত হয়ে পড়ছি, সেটা কিন্তু মাইগ্রেনের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। মাইগ্রেন এক সময় বলা হত নার্ভের রোগ কিন্তু এটা নার্ভের রোগ বেসিক্যালি নয়। এটার পেছনে দেখা যায় কিছু শিরা উপশিরা যেগুলো আমাদের মাথার মধ্যে রয়েছে। যখনই আমরা স্ট্রেসড হয়ে যাই সেগুলোর উপরে ব্লাড সার্কুলেশন বেড়ে যায় সেই জন্যই একদিক ধরে ব্যাথাটা বেশি বাড়তে থাকে এবং তার প্রবণতা ও অনেক বেশি বাড়তে থাকে।

মাইগ্রেন কেন হয়?

এবার এখন এই যুগে দাঁড়িয়ে আমাদের প্রতিদিনের যুদ্ধের মধ্যে দিয়ে আমরা হয়তো স্ট্রেস টাকে নিজের হাতেই হয়তো অনেকটা বাড়িয়ে ফেলেছি। সব কিছু পেতে যাওয়ার অদম্য ইচ্ছায় আমরা অনেকটাই ঘুমের ঘাটতি ঘটিয়ে ফেলেছি। খাওয়াদাওয়ার অনিয়ম করে ফেলেছি এবং ভালো সময় নিজের জন্য সাসপেন্ড করাটা আমাদের কাছে  দুর্মূল্য ব্যাপার হচ্ছে । তো সবটা মিলিয়েই আমাদের শারীরিক এবং মানসিক প্রভাব পড়ছে। তার জেরেই হয়তো এই সমস্যা অনেক বেশি বেড়ে চলেছে।

মাইগ্রেনের প্রভলেম আছে এমন রোগিদের কত ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন?

 আমরা কিছু ক্ষেত্রে খুব ভাল চিকিৎসার পদ্ধতির মধ্য দিয়ে মানুষকে সুস্থ করার। রাস্তা দেখিয়ে দিতে পারছি।

 যাদের এরকম মাইগ্রেনের প্রবলেম আছে বা মাইগ্রেনে ভুগে থাকেন তাদের ঠিক এডজ্যাক্টলি কত ঘণ্টা ঘুমানো দরকার ঘুম হিসেবে ব্যখ্যা করলে  যতক্ষণ পারা যায় ঘুমাতে পারলেই ভাল হয়। কিন্তু সময়টা দেয় না সুযোগ নেই ঘুমানোর এই কথাটা অনেকেই বলে থাকেন ৷ কিন্তু নিয়মমতো বলা হয় এখন বাচ্চাদের গ্রুপ অব্দি মোটামুটি থেকে ১০ ঘণ্টার পরিপূর্ণ ঘুম। তারপরে বয়সের কারণে ঘুমটা কমতে থাকে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিন্তু অ্যাভারেজ  মানুষের কিন্তু সাত থেকে আট ঘণ্টার পরিপূর্ণ ভালো পরিবেশে সুস্থ পরিবেশে ঘুমটা কিন্তু খুব প্রয়োজন। এই পরিপূর্ণ শান্তিপূর্ণ ঘুম  মানুষের জীবনে খুব প্রয়োজন৷ বাচ্চাদের ক্ষেত্রে সেটা আরও প্রয়োজন। তবে এটাও বলে রাখি, ঘুমালে যে মাইগ্রেনের ব্যথা কমে গেল সেটাও কিন্তু সব ধরনের মাইগ্রেনের ক্ষেত্রে না, মাইগ্রেনেরটি  ভাগ রয়েছে। কিছু মাইগ্রেনকে বলা হয় ক্লাসিক্যাল মাইগ্রেন যেখানেই সিম্পটম গুলো সব কিছু ম্যাচ করে যায়। কিছু মাইগ্রেন কিন্তু এগুলো কোনও কিছুর ধার ধারেনা। তারা যখন তখন যে কোনও ভাবে মানুষের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। সেটা খাওয়া দাওয়ার অনিয়ম হতে পারে এবং ব্যথার তীব্রতা অত্যন্ত বেশি। সেক্ষেত্রে কিন্তু ঘুমোলেও কিন্তু খুব বেশি আরাম হয় না৷ তার ক্ষেত্রে  সুস্থ চিকিৎসা ওষুধের মাধ্যমে কিন্তু করতে হবে বেশ কিছুদিন ধরে।

মাইগ্রেন এর চিকিৎসা।

মাইগ্রেন যাদের রয়েছে তাদের কী কী ধরনের চিকিৎসা রয়েছে বা কিভাবে তারা মুক্তি পেতে পারেপ্রথম কথাটা সুস্থ জীবন যাপন এবং পরিপূর্ণ ঘুম। তাছাড়াও আমাদের খাওয়া দাওয়ার হ্যাবিট টা খুব যদি আমরা একটু কন্ট্রোলে রাখতে পারি। আমাদের সব কিছুই এখন হাতের মুঠোয়৷ আমরা এখন হায়দরাবাদের বিরিয়ানি এখন চট করে আনিয়ে খেয়ে নিতে পারছি।  কিন্তু সেটা যখন পরিমাণটা বেড়ে যায়, ফাস্ট ফুডের প্রয়োজন অত্যন্ত বেশি মানুষের জীবনের পক্ষে ফাস্ট ফুড হোক বা সেটা কোল্ড ড্রিঙ্ক বা হার্ড ড্রিঙ্কস হোক যে কোনও কিছুই হোক না কেন। এগুলো কিন্তু আমাদের স্বাভাবিক জীবন যাপনের থেকে যখনই আলাদা হয়ে দাঁড়াচ্ছে তখনই কিন্তু এটা প্রভাব ফেলছে আমাদের উপরে। মাথা ব্যথাও বাড়ে  মাইগ্রেন বাড়ে তার সঙ্গে নিজেকে ভাল রাখা বা ঠাণ্ডা রাখা। যেটা খুব প্রয়োজন যত নিজেকে ভালো রাখা যায় যেমন সকালে ঘুম থেকে উঠে একটু এক্সাইজের মধ্যে যাওয়া নিজেকে যতটা ঠান্ডা রাখা যায় উত্তেজিত না হয়ে। তত আমরা এগুলো থেকে অ্যাভয়েড করতে পারবো। ওষুধ তো আছেই কিন্তু এগুলো বাকি জিনিসগুলো দিয়ে হয়তো আমরা অনেকটাই ওষুধ থেকেও নিজেকে সরিয়ে রাখতে পারবো।


পরবর্তী পোস্ট পূর্ববর্তী পোস্ট
কোন মন্তব্য নেই
এই পোস্ট সম্পর্কে আপনার মন্তব্য জানান

দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন - অন্যথায় আপনার মন্তব্য গ্রহণ করা হবে না।

comment url