স্ট্রোকের আগে কি কি সংকেত দেয় শরীর

স্ট্রোকের আগে কি কি সংকেত দেয় শরীর

স্ট্রোকের আগে কি কি সংকেত দেয় শরীর

আজকে যে বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করব বা জানতে চাইবো সেটা হচ্ছে ব্রেন স্ট্রোক।কিন্তু সেই ব্রেন স্ট্রোকের সঙ্গে আরও কিছু কিছু বিষয় আছে । যেগুলো আমাদের জানা অত্যন্ত জরুরি।

যেমন ধরুন যে আমাদের স্ট্রোক যাতে না হয় সেই স্ট্রোকটা কে প্রতিরোধ করব কী ভাবে? অথবা ধরুন যে স্ট্রোক হবার আগে থেকে আমাদের শরীর কি কিছু জানান দেয় বা স্ট্রোক হবার পর আমরা সেরে উঠব এবং সেরে ওঠার জন্য আমাদের আর কী কী বিশেষ দিকগুলোর উপরে নজর দেওয়া। জরুরি আমরা এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা।

স্ট্রোকের আগে কি কি সংকেত দেয় শরীর

কিন্তু তার আগে প্রথমে যেটা জান যে ব্রেইন স্ট্রোক কী এবং তার প্রকারভেদ কিন্তু ব্রেইন স্ট্রোক এক ধরনের  ভয়াবহ বেদী অনেকেই জানে যে স্ট্রোক মানে হার্ট এট্যাক যেটা অনেক সময় দেখা গেছে।

সিনেমাতে দেখা যায় যে স্ট্রোক হয়েছে বলে এরকম বুকে হাত দিয়ে অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছে লোকজন সেগুলো কিন্তু সেটা হার্ট ইজ নট  অ্যান্ড টু স্ট্রোক। স্ট্রোক, হ্যাপেনস ওনলি ইন ব্রেন টা কিভাবে হয় এটা  ব্রেনের মডেল পিঙ্ক জায়গাগুলো হচ্ছে ব্রেন প্যারেনকাইমা বা মেনর গানটা।

আর এখানেই আর্টারি ব্লাড সাপ্লাই 12 দমনে গুলো আছে যেগুলো ব্রেনকে ব্লাড সাপ্লাই দেয় রক্ত সঞ্চালন যখন বাধা পায় তখন ওই জায়গাটি সেল গুলো নষ্ট হয়ে গিয়ে তার ফাংশন নষ্ট হয়ে যায়। সেই কারণেই কিন্তু স্ট্রোক টা হচ্ছে এবারে বাধা কী ভাবে পায়। কী কী ধরনের স্ট্রোক হয় দু রকম মেনলি একটাকে বলি আমরা ইস্কিমিক স্ট্রোক৷

আর একটাকে বলি আমরা হেমোরেজিক স্ট্রোক ইস্কিমিক স্ট্রোক হচ্ছে যেখানে ভেতরে দম এই ধরনের গুলো ভেতরে যে রক্ত সঞ্চালন হয় ওখানে ক্লট দিতে গিয়ে অবস্ট্রাকশন তৈরি করে এবং সামনের দিকে ব্লাড সাপ্লাই হচ্ছে না । সেটাকে আমরা ইনফ্যাক্ট বা ইস্কিমিক স্ট্রোক বলি যেটা সিটি স্ক্যানে কালো ভাবে দেখা যায়।

আর এক ধরুন হচ্ছে হেমোরেজিক স্ট্রোকযে খানে এই ধমনী ছিঁড়ে গিয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে ব্রেনের মধ্যে।পরে ওই প্রেসার এফেক্টেড রক্ত সঞ্চালন বাধা পাচ্ছে ওখানকার সেল মরে যাচ্ছে।সেটাকে আমরা হেমোরেজিক স্ট্রোক বলে থাকি।

বারে দেখা গেছে যে ওয়েস্টার্ন ওয়ার্ল্ডে।প্রায় ৮০ পার্সেন্ট হচ্ছে ইস্কিমিক স্ট্রোক বা ইনফাক 20 পারসেন্ট হচ্ছে হেমোরেজিক স্ট্রোক কিন্তু আমাদের দেশে। প্রায়।হেমোরেজিক স্ট্রোক এবং ইস্কিমিক স্ট্রোক 50% হয়ে দাঁড়িয়েছে কেন? কেননা আমাদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ বা হাই ব্লাড প্রেসারের ইনসিডেন্স অনেক বেশি এবং যত প্রসার বাড়বে তত বেশি হেমোরেজিক স্ট্রোক হওয়ার চান্সও থাকে।

সেই কারণে আমাদের দেশে দেখা গেছে কম বয়সী 40 থেকে 50 বয়স থেকে স্ট্রোক হতে শুরু করেছে এবং বেশিরভাগই হেমোরেজিক স্ট্রোক হচ্ছে । স্ট্রোকের যে আফটার মাঠ বা এফেক্ট মেন।

কী কী স্ট্রোকের জন্য মানুষ মারা যেতে পারেন ইন ফ্যাক্ট।

স্ট্রোক হচ্ছে ডেটের নাম্বার টু কোর্স। ভারতবর্ষে সেকেন্ড ক্রস অফ ডেথ নাম্বার ওয়ান কোর্স অফ ডিসএবিলিটি মানে হচ্ছে পঙ্গুত্ব। পঙ্গুত্ব কেন স্ট্রোক? সেই কারণে সবাই স্ট্রোককে ভয় পায়। কেননা তার আফটার এফেক্ট হচ্ছে যদি বেঁচে যায় মানুষ তার মধ্যে প্রায় 70 থেকে 80 প্রতিশোধ লোক।

কিন্তু পঙ্গুত্বের মধ্যে দিয়েই জীবন যাপন করেন তারপরে কিরকম ধরনের পঙ্গুত্ব একদিকে প্যারালিসিস হয়ে যাওয়া মেমরি লস হয়ে যাওয়া কথা না বলতে পারা  বুঝতে না পারা কমিউনিকেশন প্রবলেম।

অনেকেই যদি হাঁটা চলাও করতে পারেন। কিন্তু নর্মাল চাকরি জীবনে ফিরতে পারেন না। বেশির ভাগই তো এই 40,50,55, রকম বয়সের  হয় যখন তাদের সার্ভিস লাইফ এবং প্রফেশনাল লাইফে তাঁরা অ্যাক্টিভ থাকেন। তাঁদের স্ট্রোকের ঝুঁকি গুলো জানতে হবে। আমাদের ট্রিটমেন্ট করে বা নিজের লাইফস্টাইল মডিফাই করে আমরা যাতে স্ট্রোক রিস্কটা কমিয়ে নিতে পারি।

স্ট্রোকের ঝুঁকিগুলো কি ?

বারে ঝুঁকিগুলো কি তার মধ্যে নাম্বার ওয়ান হচ্ছে উচ্চ রক্তচাপ বা হাই ব্লাড প্রেসার।দেখা গেছে যে 80 থেকে 90% স্ট্রোক যাদের হয় তাদের মধ্যে বেশিরভাগেরই কিন্তু উচ্চ রক্তচাপ থাকে। বা ব্লাড প্রেসার কন্ট্রোল থাকে না। লোকে জানে না যে তাঁদের ব্লাড প্রেশার বাড়ছে৷ কেননা ব্লাড প্রেসার এর কোনো সিম্পটম নেই।

যদি আগে থেকে আমরা তার ব্যবস্থা করি। ব্লাড প্রেসার মাপানো যাদের ফ্যামিলিতে ব্লাড প্রেসার থাকছে বা,খুব কম বয়সে স্ট্রোক হচ্ছে বা হার্ট এট্যাক হচ্ছে তাদের অবশ্যই উচিত 30 বছর বয়স থেকে রেগুলার ব্লাড প্রেসার মাপা।এবং যদি বাড়ে তাহলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে ওষুধ নিতে হবে নিজে কখনও অ্যাডজাস্ট করা বা বন্ধ করা উচিত নয়।

ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে করা উচিত হাই কোলেস্টেরল চর্বি বেড়ে যাওয়ার রক্তের মধ্যে এটাও বিশাল রিস্ক ফ্যাক্টর। তার সাথে কিছু কিছু কন্ডিশন যেগুলোকে আমরা এটি ফিব্রিলেশন বলি হার্টের গন্ডগোল।রেগুলার হার্টবিট হয়ে যাওয়া।এটাও কিন্তু স্ট্রোকের  কারণ।

হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোক এই দুটোকে আলাদা ভাবে চিনব কিভাবে ?

স্ট্রোকের  আগে চেস্ট পেন হবে বা শ্বাসকষ্ট হবে বা।ঘাম দেবে।হার্টের পেশেন্ট কখনও প্রথমের দিকে অজ্ঞান হবেন না। তাঁরা বলতে পারেন যে যে স্পেন হচ্ছে শ্বাসকষ্ট হচ্ছে বুক ধড়ফড় করছে। এগুলো হচ্ছে হার্টের সিস্টেম, তো স্ট্রোকের সিম কি? ব্রেনের অনেক ফাংশন আছে আমাদের ব্রেন এর 2 ভাগ।

ডান দিকে বাঁ দিকে দু টোই দু টোর কিন্তু আলাদা আলাদা কাজ যেরকম ডান দিকে ব্রেন বাঁ দিকের হাত পার কন্ট্রোল করে। কিছু ক্যালকুলেশন কিছু মেমরি সব কন্ট্রোল করে বা দিকের ব্রেন। ডান হাত পা কন্ট্রোল এবং বেশিরভাগ লোকেরই ল্যাঙ্গুয়েজ কথা বলার ক্ষমতা সবকিছু বাঁ দিক থেকে আসে।

পেছনে ব্রেন এর পেছনের অংশে হচ্ছে ব্যালেন্সের অরগ্যান থাকে এবং আমরা যে দেখছি পুরো ইমেজ ফর্মেশনটা পেছনে হয়। সুতরাং যে দিকে আর্টারি সাপ্লাইটা ব্লক হবে মানে যেখানে সেল নষ্ট হবে এক সেকেন্ডের মধ্যে কিন্তু দুই মিলিয়ন স্ক্যাল্প একদম পার্মানেন্ট লস হয়ে যায়। তাই  স্ট্রোকের চিকিৎসা দ্রুত করতে হবে।

স্ট্রোক চিনব কী করে

প্রথমের দিকে ফাস্ট বলা হল এফএসটি ফাস্ট ফোর ফেস একদিকে মুখ বেঁকে যাওয়া। কথা বলতে না পারা বা কথা বুঝতে না পারা যে কোনও জিনিসেরই কিন্তু স্ট্রোক হতে পারে। আরটি টাইম হচ্ছে ফর ব্রেন মানে প্রত্যেক মুহূর্তেই ব্রেন সেল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

সময় নষ্ট করবেন না।দ্রুত রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যান। কেননা প্রত্যেকটা মুহূর্তে আমরা যত টাইম ওয়েস্ট করবো তত নিউরন নষ্ট হয়ে যাবে। আমাদের কথা বলার ক্ষমতা।মেমরি পাওয়ার চিনতে পারা কমিউনিকেট করা হাঁটাচলা করা সবকিছুই কিন্তু বাধা পেয়ে যেতে  পারে৷ তো প্রত্যেকটা মুহূর্তে আমরা যত তাড়াতাড়ি চিকিৎসা করব এগুলোকে আমরা বাঁচিয়ে রাখতে পারব।

আমরা অনেক সময় বলি বি ফাস্ট বি ফাস্ট মানে বিফোর ব্যালেন্স কারন হয়ত হঠাৎ হাঁটতে হাঁটতে মনে হল একটু ডিসব্যালেন্স হয়ে যাচ্ছে সেটাও কিন্তু স্ট্রোকের লক্ষণ। চোখে যদি হঠাৎ দেখতে না পায় বা ঠিক করে দেখতে পাচ্ছেন না সেটাও কিন্তু স্ট্রোকের সিনড্রোম হতে পারে ।

স্ট্রোক হবার আগে শরীরের কিছু লক্ষণ।

স্ট্রোক হবার আগে আমাদের ধরুন এক সপ্তাহ বা এক মাস বা দু সপ্তাহ আগে শরীর কোন ও সংকেত দেয়। আজকের দিনে কিন্তু শরীরে কি কোনও সংকেত দেয় যে এরকম কোন সিম্পটম হচ্ছে যেটা দেখে খুব আরও বেশি সতর্ক হয়ে যাওয়া দরকার।

পরিবারের লোক বা নিজের যেরকম খুব বেশি ব্লাড প্রেসার বেড়ে গেলে অনেক সময় একটু মাথা যন্ত্রণা করতে পারে।বা সুগার আনকন্ট্রোল্ড হয়ে গেল। তখন তার সিম্পটমস কিছু হতে পারে। তার জন্য ডিসব্যালেন্স হতে পারে।কিন্তু এখানে অনেকেই বলে যে কিছুদিন আগে আমার একটু মুখ বেঁকে ছিল।

একটু কথা জড়িয়ে ছিল কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যে ঠিক হয়ে গেল এটা কিন্তু স্ট্রোক। মিনি স্ট্রোক বা টিআইএ ট্রানজিয়েন্ট ইসকিমিক অ্যাটাক হতে পারে।সেটা কি সেটা হচ্ছে? কিছুক্ষণের জন্য ব্লাড সাপ্লাই টা বাধা পাচ্ছে। তারপরে নিজে নিজেও ক্লিয়ার হয়ে যাচ্ছে। টি আই এর ডেফিনেশন অনুযায়ী। 24 ঘণ্টার মধ্যেই জিনিসটা চলে যাবে এবং নরমালাইজড করে যাবে।

পরবর্তী পোস্ট পূর্ববর্তী পোস্ট
কোন মন্তব্য নেই
এই পোস্ট সম্পর্কে আপনার মন্তব্য জানান

দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন - অন্যথায় আপনার মন্তব্য গ্রহণ করা হবে না।

comment url